মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) কর্তৃক অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি এবং শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রকাশিত হয়েছে। ২১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে এই পরীক্ষা চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। যারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন, তাদের জন্য এটি নিশ্চিতভাবে একটি দারুণ খবর!
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) তাদের ওয়েবসাইটে অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার সম্পূর্ণ সময়সূচি প্রকাশ করেছে। আগামী ২১শে ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে এই পরীক্ষা চলবে ২৪শে ডিসেম্বর পর্যন্ত। ভাবা যায়, বছর শেষের আগেই একটা বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে তোমাদের জন্য! কিন্তু ভয় পাওয়ার কিছু নেই, ঠিকঠাক প্রস্তুতি আর এই নির্দেশনাগুলো মেনে চললে তোমাদের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে থাকবে।
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি:
চলুন দেখে নেই ২০২৫ সালের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার রুটিন:
-
২১ ডিসেম্বর: বাংলা
-
২২ ডিসেম্বর: ইংরেজি
-
২৩ ডিসেম্বর: গণিত
-
২৪ ডিসেম্বর: বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত, অর্থাৎ ৩ ঘণ্টা ধরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি বিষয়ে ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। তবে মনে রাখবেন, বিশেষ প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ এই সময়সূচি পরিবর্তন করতে পারবে।
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য মাউশির বিশেষ নির্দেশনা:
মাউশি শুধু রুটিন প্রকাশ করেই ক্ষান্ত হয়নি, শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাও দিয়েছে। আসুন গুরুত্বপূর্ণ নিরেদশনাগুলো দেখে নেই।
১. পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। সময়ানুবর্তিতা এখানে খুব জরুরি।
২. প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা দিতে হবে। বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় উভয় বিষয়ের জন্য ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট করে মোট ৩ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ থাকবে।
৩. প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষার কমপক্ষে সাত দিন আগে সংগ্রহ করতে হবে। শেষ মুহূর্তের ঝামেলা এড়াতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৪. উত্তরপত্রের OMR ফরমে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।
৫. পরীক্ষার্থীরা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে।
৬. কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি বা পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে মুঠোফোনসহ অন্য কোনো ইলেকট্রনিকস ডিভাইস সঙ্গে আনতে পারবে না। এটি পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য।
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় কারা অংশ নিতে পারবে?
নীতিমালা অনুযায়ী, মাধ্যমিক বা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অষ্টম শ্রেণির সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী (সপ্তম শ্রেণির সব প্রান্তিকের সামষ্টিক মূল্যায়নের ফলের ভিত্তিতে) এই বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। অর্থাৎ, যারা মেধাতালিকায় এগিয়ে আছে, তারাই এই সুযোগ পাবে।
আরও দেখুন:৮ম শ্রেণির জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার ফরম পূরণের সূচি প্রকাশ ২০২৫
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার নম্বর বিভাজন ও বৃত্তির ধরন
মোট ৪০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে, যেখানে বাংলা, ইংরেজি ও গণিতে ১০০ করে এবং বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ে ৫০ করে নম্বর থাকবে। শিক্ষার্থীদের দুই ধরনের বৃত্তি দেওয়া হবে: ট্যালেন্টপুল বৃত্তি ও সাধারণ বৃত্তি। বৃত্তির ৫০% ছাত্র এবং ৫০% ছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। তবে নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে ছাত্রের বৃত্তি ছাত্রী দ্বারা ও ছাত্রীর বৃত্তি ছাত্র দ্বারা পূরণ করা যাবে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
পরীক্ষার্থীপ্রতি বোর্ড ফি ৪০০ টাকা এবং কেন্দ্র ফি ২০০ টাকা।
-
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় পাবে।
-
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক অনুসরণ করে প্রশ্ন তৈরি হবে।
-
যদি কোনো শিক্ষার্থী বিদ্যালয় পরিবর্তন করে থাকে, সে ক্ষেত্রে আগের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মেধাক্রম বিবেচনা করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে।
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫: প্রশ্ন কাঠামো ও নম্বর বিভাজন
বৃত্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো পরীক্ষার প্রশ্ন কাঠামো ও নম্বর বিভাজন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া। তোমাদের এই ভাবনা দূর করতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে সম্প্রতি প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্নপত্রের ধরন, মূল্যায়ন নির্দেশনা ও নম্বর বিভাজন স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে। তাহলে চলো, আর দেরি না করে প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে জেনে নিই!
এই নতুন কাঠামোটি ২০২৫ সালের জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা থেকেই কার্যকর হবে। নির্বাচিত ৫টি বিষয়ের প্রশ্নপত্রের কাঠামো ও নম্বর বিভাজন নিচে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো:
পরীক্ষার বিষয়সমূহ ও পূর্ণমান:
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা মোট ৫টি বিষয়ের উপর অনুষ্ঠিত হবে, যার মধ্যে বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয় দুটি সম্মিলিতভাবে একটি ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
-
১. বাংলা: পূর্ণমান: ১০০ নম্বর, সময়: ৩ ঘণ্টা
-
২. ইংরেজি: পূর্ণমান: ১০০ নম্বর, সময়: ৩ ঘণ্টা
-
৩. গণিত: পূর্ণমান: ১০০ নম্বর, সময়: ৩ ঘণ্টা
-
৪. বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়: পূর্ণমান: (৫০ + ৫০) = ১০০ নম্বর, সময়: (১.৩০ + ১.৩০) = ৩ ঘণ্টা
বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন কাঠামো ও নম্বর বিভাজন:
এখন প্রতিটি বিষয়কে আলাদাভাবে দেখে নেওয়া যাক। এতে তোমরা বুঝতে পারবে, কোন অংশে কতটুকু জোর দিতে হবে।
১. বাংলা (পূর্ণ মান: ১০০, সময়: ৩ ঘণ্টা)
বাংলা বিষয়ে মোট ১০০ নম্বরকে চারটি প্রধান অংশে ভাগ করা হয়েছে:
-
ক. বহুনির্বাচনী প্রশ্ন: ১ x ২০ = ২০ নম্বর (গদ্য থেকে ৫টি, কবিতা থেকে ৫টি, ব্যাকরণ থেকে ১০টি)।
-
খ. সৃজনশীল প্রশ্ন: ১০ x ৪ = ৪০ নম্বর (গদ্য থেকে ২টি, কবিতা থেকে ২টি)।
-
গ. বর্ণনামূলক প্রশ্ন: ১ x ২০ = ২০ নম্বর (আনন্দপাঠ থেকে ১টি প্রশ্ন, যার ‘ক’ অংশে ৩ এবং ‘খ’ অংশে ৭ নম্বর থাকবে)।
-
ঘ. নির্মিতি অংশ: মোট ৩০ নম্বর।
-
পত্র রচনা: ১ x ৫ = ৫ নম্বর
-
সারাংশ/সারমর্ম: ১ x ৫ = ৫ নম্বর
-
ভাবসম্প্রসারণ: ১ x ৫ = ৫ নম্বর
-
প্রবন্ধ রচনা (২টি থেকে ১টি): ১ x ১৫ = ১৫ নম্বর
-

মনে রাখবে, সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। সুতরাং, প্রতিটি অংশে ভালো প্রস্তুতি অপরিহার্য।
২. ইংরেজি (পূর্ণমান: ১০০, সময়: ৩ ঘণ্টা)
ইংরেজি বিষয়ে মোট ১০০ নম্বরকে তিনটি অংশে ভাগ করা হয়েছে:
Part-A: Reading (40 Marks)
-
Seen Passage-1:
-
MCQ: ০.৫ x ১০ = ৫ Marks
-
Answering questions: ২ x ৪ = ৮ Marks
-
-
Seen Passage-2:
-
Gap filling: ০.৫ x ৫ = ২.৫ Marks
-
Vocabulary (Synonyms & Antonyms): ০.৫ x ৫ = ২.৫ Marks
-
-
Unseen Passage:
-
Information Transfer (or True/False): ১ x ৫ = ৫ Marks
-
Writing Summary: ৫ Marks
-
Matching: ১ x ৪ = ৪ Marks
-
-
Poems:
-
Answering question from poems in English for Today (যে কোনো ৪টি উত্তর দিতে হবে, ৭টির মধ্যে): ২ x ৪ = ৮ Marks
-
Part-B: Grammar (30 Marks)
-
Gap filling activities with clues/without clues (parts of speech, articles, prepositions etc.): ০.৫ x ১০ = ৫ Marks
-
Substitution table: ১ x ৫ = ৫ Marks
-
Right form of Verbs: ০.৫ x ১০ = ৫ Marks
-
Changing Sentences (Tense, Affirmative, Negative, Assertive, Interrogative, Optative, Imperative, Exclamatory): ১ x ১০ = ১০ Marks
-
Punctuation and Capitalization: ০.৫ x ১০ = ৫ Marks
Part-C: Writing (30 Marks)
-
Letter/E-mail (Formal/Informal): ৮ Marks
-
Completing stories/Writing dialogues: ১০ Marks
-
Writing short composition in ২০০ words: ১২ Marks

এখানেও, সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বাধ্যতামূলক।
৩. গণিত (পূর্ণ নম্বর: ১০০, সময়: ৩ ঘণ্টা)
গণিত বিষয়েও ১০০ নম্বরকে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়েছে:
-
ক. বহুনির্বাচনী প্রশ্ন: ১ x ৩০ = ৩০ নম্বর (পাটিগণিত ৮-১০টি, বীজগণিত ৮-১০টি, জ্যামিতি ৬-৮টি, তথ্য ও উপাত্ত ৩-৪টি)।
-
খ. সংক্ষিপ্ত-উত্তর প্রশ্ন: ২ x ১০ = ২০ নম্বর (মোট ১০টি প্রশ্ন থাকবে)।
-
গ. সৃজনশীল প্রশ্ন: ১০ x ৫ = ৫০ নম্বর (পাটিগণিত, বীজগণিত, জ্যামিতি এবং তথ্য ও উপাত্ত অংশ থেকে কমপক্ষে ১টি করে মোট ৫টি সৃজনশীল প্রশ্ন)।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, প্রতিটি অধ্যায় থেকে ন্যূনতম ১টি প্রশ্ন (সৃজনশীল/সংক্ষিপ্ত-উত্তর/বহুনির্বাচনী) থাকবে। সুতরাং, কোনো অধ্যায় বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই!
৪. বিজ্ঞান (পূর্ণমান: ৫০, সময়: ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট)
বিজ্ঞান বিষয়ে মোট ৫০ নম্বরকে তিনটি অংশে ভাগ করা হয়েছে:
-
ক. বহুনির্বাচনী প্রশ্ন: ১ x ১০ = ১০ নম্বর (মোট ১০টি প্রশ্ন)।
-
খ. সংক্ষিপ্ত-উত্তর প্রশ্ন: ২ x ৫ = ১০ নম্বর (মোট ৫টি প্রশ্ন)।
-
গ. সৃজনশীল প্রশ্ন: ১০ x ৩ = ৩০ নম্বর (মোট ৩টি সৃজনশীল প্রশ্ন)।
এখানেও, জেনে রাখা ভালো, প্রতিটি অধ্যায় থেকে ন্যূনতম ১টি প্রশ্ন (সৃজনশীল/সংক্ষিপ্ত-উত্তর/বহুনির্বাচনী) থাকবে।
৫. বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় (পূর্ণমান: ৫০, সময়: ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট)
বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়েও মোট ৫০ নম্বরকে তিনটি অংশে ভাগ করা হয়েছে, যা বিজ্ঞানের মতোই:
-
ক. বহুনির্বাচনী প্রশ্ন: ১ x ১০ = ১০ নম্বর (মোট ১০টি প্রশ্ন)।
-
খ. সংক্ষিপ্ত-উত্তর প্রশ্ন: ২ x ৫ = ১০ নম্বর (মোট ৫টি প্রশ্ন)।
-
গ. সৃজনশীল প্রশ্ন: ১০ x ৩ = ৩০ নম্বর (মোট ৩টি সৃজনশীল প্রশ্ন)।

এখানেও একই নির্দেশনা প্রযোজ্য: প্রতিটি অধ্যায় থেকে ন্যূনতম ১টি প্রশ্ন (সৃজনশীল/সংক্ষিপ্ত-উত্তর/বহুনির্বাচনী) অবশ্যই থাকবে।
শিক্ষার্থী বন্ধুরা, এই বিস্তারিত প্রশ্ন কাঠামো ও নম্বর বিভাজন জেনে তোমরা তোমাদের প্রস্তুতিকে আরও সুসংগঠিত করতে পারবে। তাই, এখন থেকেই প্রতিটি অংশকে সমান গুরুত্ব দিয়ে পড়াশোনা শুরু করে দাও। মনে রেখো, ভালো প্রস্তুতিই সাফল্যের চাবিকাঠি!
শেষ কথা
এই বৃত্তি পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে এবং উচ্চশিক্ষায় অনুপ্রাণিত করতে একটি দারুণ সুযোগ। শুধু বৃত্তি পাওয়া নয়, এই পরীক্ষার মাধ্যমে তোমরা নিজেদের কতটা তৈরি করতে পেরেছো, সেটাও যাচাই করার সুযোগ পাবে। তো আর দেরি কেন? এখনই কোমর বেঁধে লেগে পড়ো পড়াশোনায়! এই সুবর্ণ সুযোগটা হাতছাড়া করা যাবে না কিন্তু! পরীক্ষার প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখা যাবে না এবং মাউশির নির্দেশনাগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মেনে চলুন। সফলতা আসবেই! সব পরীক্ষার্থীর জন্য রইল আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভকামনা!